তোমার গায়ে হাত না রেখে ঘুম হতনা আমার | Tomar Gaye Hat Na Rekhe Ghum Hoto...
তোমার গায়ে হাত না রেখে ঘুম হতনা আমার | Tomar Gaye Hat Na Rekhe Ghum Hoto Na Amar CoMessenger
হে মু’মিনগণ! তোমাদের মধ্য হতে যে ব্যক্তি স্বীয় ধর্ম হতে বিচ্যুত হবে, (এতে ইসলামের কোন ক্ষতি নেই, কেননা) আল্লাহ সত্ত্বরই (তাদের স্থলে) এমন এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন যাদেরকে আল্লাহ ভালবাসবেন এবং তারাও আল্লাহকে ভালবাসবে, তারা মুসলিমদের প্রতি মেহেরবান থাকবে, কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে, তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে আর তারা কোন নিন্দুকের নিন্দার পরওয়া করবেনা; এটা আল্লাহর অনুগ্রহ, তা তিনি যাকে ইচ্ছা প্রদান করেন; বস্তুতঃ আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী। শুনো ভাই, এই আয়াত টার মানে বুঝো? গত ৫০-৬০ বছর ধরে তোমাদের মত মাদ্রাসার ছাত্র,আলেম রা যখন তাগুতের পা চাটা শুরু করসো হক কথা গোপন করা শুরু করছো পীঠ বাচানোর জন্য, যখন জিহাদের প্রতি উদ্ধুদ্ধ করা বাদ দিছো,জিহাদের মত আয়াত কে মানুষের সামনে স্পষ্ট ভাবে বলা বন্ধ করেছো, তোমাদের মাদ্রাসার আলেম রা যখন বিদাত,মিলাদ, চালু করসে তখন ই আল্লাহ তোমাদের মত আলেম দের বাদ দিয়ে জেনারেল লাইনের ছাত্র দিয়ে তাত দ্বীনের খেদমত শুরু করছেন। জাকির নায়েক,ডাক্তার হয়ে যতজন মানুষকে ইসলাম গ্রহন করতে সাহায্য করেছেন, তোমাদের মাদ্রাসার আলেম কয়জন কে করেছেন? আরিফ আজাদের বই পরে যত মানুষ দ্বীনের পথে ফিরে এসেছে, তোমাদের দাওয়াতে কয়জন আসছে, খালিদ আল রাশিদ দ্বীনের পথে এসে যত মানুষকে দ্বীনের পথে এনেছে, তোমাদের মত মাদ্রাসার আলেম কয়জন কে এনেছেন? নোমান আলী খান যেভাবে নাস্তিক থেকে আস্তিক হয়ে হাজার হাজার খ্রিস্টান/পথ হারানো মুসলিম কে দ্বীনের পথে আনতে সাহায্য করেছেন,তোমাদের আলেম রা কয়জন কে আনতে পেরেছেন? শুধু এটাই না, যখন ভারতে নবীজির অবমাননা হলো,তখন দেওবন্দের কোন আলেম গেসিলো? না কি জেনারেল পরুয়া এক ১৮ বছরের ছাত্র গেসিলো? যখন বাংলার জমীনে আল্লাহর রাসুলকে অবমাননা করা হইসিলো, তখন মাদ্রাসার কোন আলেম এগিয়ে গেসিলো হত্যা করতে কিছু জেনারেল ছাত্র+জসীমউদ্দিন রাহমানী ছাড়া? এভাবে অনেক নজীর দেখাতে পারবো। বেশি কিছু বললাম না আর, আরে আফগানে বাংলাদেশ থেকে অনেক ছাত্ররাও গিয়েছে জেনারেলের। এখনো অনেক বাংলাদেশের ডাক্তার আছে শামে চিকিৎসা করসে উম্মাহের জন্য ফ্রিতে মুজাহিদদের জন্য, অথচ বাংলার কোন আলেম মাদ্রাসার ছাত্র গেসে উত্তর দাও। তোমাদের মত মানুষের কাছে হক গোপন হলে কি হবে? আল্লাহর দ্বীন তোমাদের মুখাপেক্ষী নাহ, তাই আল্লাহ তার দ্বীন কে তোমাদের মত গোপনকারী থেকে সরিয়ে ঠিক ই অন্য কারো মাধ্যমে প্রকাশ করিয়ে দিচ্ছেন। জিহাদ বাদ দিয়ে মিছিল,মিটিং এসব ধান্দামি কই পাইসে আলেমরা আর মাদ্রাসার ছাত্র রা? আর গীবত করা তো তোমাদের এখন প্রধান কাজ। পারলে তার সামনে গিয়ে তাকে সংশোধন করো, না হলে।চুপ থাকো।
স্কুলের সিলেবাস মাদ্রাসায় আছে সাথে ধর্মীয় শিক্ষাও আছে, হাদিস, কোরআন আছে কিন্তু স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই,আর একজন মুসলিম হিসেবে ধর্মীয় শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। শিশু শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত একটা আরবি বই বেশি থাকলে বাচ্চারা আরবি বুঝতে ও পারবে ও বলতে পারবে , এটা সহকারে র পক্ষে সম্ভব। যেভাবে শিক্ষার্থীগন একটা পর্যায়ে ডাক্তারি, কৃষি, গনিত,অর্থনীতি ইত্যাদি শেখার জন্য বিভাজিত হয়ে যায়, ইসলামী শিক্ষাও ঐরূপ একটা ব্যবস্থাপনায় হওয়া উচিত। এইচ এস সি পর্যন্ত সকলের জন্য একই শিক্ষা হওয়া উচিত। এবং ঐ প্রতিষ্ঠানটির নাম মাদ্রাসা হতে হবে এমন নয়।