===

Bachelor's Ramadan | Kajal Arefin Ome | Dhruba Tv Eid Special Telefilm 2022 #গল্পঃঅনুভূতির_প্রতিশোধ

আমার হবু বউকে আমার ক্রোজ ফ্রেন্ডের সাথে হসপিটালে এবার্রশন করতে আসতে দেখে পায়ের তলার মাটি সরে গেল।
এ কি ছিল বিশ্বাসের প্রতিদান! নাহ্ কিছু ভাবতে পারছিনা।
.
হসপিটালের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়, আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুটিকে দেখলাম, আমার হবু স্ত্রীর আপত্তিকর জায়গার হাত দিয়ে রাখছে। আমার হবু স্ত্রীকে নিয়ে হসপিটালে ঢুকল। আমিও কোনকিছু না ভেবেই,তাদের অনুসরণ করতে লাগলাম।
.
আমার হবু স্ত্রীর নাম ' অনামিকা জাহান আরিফা ' এদিকে আমার বন্ধু, উজ্জল কথাকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকল। আমি আড়ালে লুকিয়ে পড়লাম, যা শুনলাম তা শোনার জন্য একেবারে প্রস্তুত ছিলাম না " ডাক্তার সাহেব, আমরা এখনই বাচ্চা নিতে চাচ্ছি না, বাচ্চাটা নষ্ট করতে চাচ্ছি! ( আরিফা)
.
বাচ্চার বাবা কি আপনি?
.
হ্যাঁ স্যার,আরিফার গর্ভে আমার সন্তান।ভালোবেসে বিয়ে করলেও, এখনই বাচ্চা নিতে আমরা মেন্টালি প্রস্তুত নয়। ( উজ্জল)
.
এদিকে উজ্জলের মুখে এমন কথা শুনে নিজের অজান্তে চোখ দুটি ঝাপসা হয়ে এলো। এই কি আমার বন্ধু যাকে বাচাঁতে মৃত্যুকে পরোয়া না করে, রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচায়। এই কি সেই বন্ধু যাকে মুখে খারার পর্যন্ত তুলে দিয়েছি, নিজের কোন ভাই ছিল না বলে নিজের ভাইয়ের স্থানটা বুকে দিয়েছি। একটা চকলেট খেলেও যাকে অর্ধেক দিয়ে খেতাম! যার সাথে একমুর্হূত কথা না বলে থাকতে পারতাম না। আজ সেই বন্ধুই কিনা কলিজাতে আঘাত করল। আকাশ প্রাণে তাঁকিয়ে বললাম" হে আল্লাহ্ কাউকে সত্যিকারের ভালবাসা কি পাপ? হঠাৎ ডাক্তারের কথায় তাদের দিকে মনোযোগী হলাম!
.
আরিফা বলতেছে " ডাক্তার আমরা অনেক ভেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা এখনি বাচ্চা নিবো না! এ বাচ্চা নষ্ট করে ফেলবো। উজ্জল আমার স্বামীও এ ব্যাপারে একমত! "
.
আরিফার কথাটা একদম তীরের মতো কলিজাতে এসে বিঁধল!
.
এদিকে ডাক্তার বলল আচ্ছা, কিছু মেডিসিন লিখে দিচ্ছে! তিনদিন পর আরেকবার আসবেন। "
.
"ধন্যবাদ ডাক্তার সাহেব " উজ্জল কথাটা বলে চক-চকে এক হাজার টাকার একটি নোট ডাক্তারের হাতে ধরিয়ে দিয়ে মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে চোখা-চোখি করে ডাক্তারের রুম থেকে বের হতে লাগল!
.
তাদের আসা দেখে আমি নিরাপদে সরে গেলাম। তাঁরা দুজন বাইকে করে, বাসায় চলে গেল। আমার মন চাচ্ছে এই বিশ্বাসঘাতকে খুন করে ফেলি! কিন্তু না কেন এমন ভালবাসার নাটক করল, তা শুনতে বরই ইচ্ছে করছে। বাসায় এসে হালকা খেয়ে সন্ধ্যায় ফোন দিলাম আরিফাকে। দুই বার রিং হতেই ফোনটা ধরল " হ্যালো বাবু কেমন আছো, আমার বাবুটাকে এত্তো এত্তো মিস করছি, আমার বাবুটা খেয়েছে! " ( আরিফা)
.
প্রতিদিনের মতো আজকেও আরিফা এসব বলছে, প্রতিটা কথা বিষের তীরের মতো কানে এসে লাগছে। দাঁতে দাঁত চেপে বললাম হ্যাঁ খেয়েছি। "
.
ওহ্ আচ্ছা বাবু আমি আসি, আমার ভালোলাগছে না! কথাটা বলে আরিফা ফোনটা রেখে দিল!
.
এদিকে দুই মিনিট পর আরিফার বাবা ফোন দিয়ে বলল তাঁরা গ্রামে চলে গেছে। আরিফা একে আমি যেন তাদের বাসায় যায়! আমি কিছু বলতে পারলাম না! ফোনটা রেখে দিয়ে ভাবলাম, আজ বলবো কেন এমন করল আমার সাথে, কি অপরাধ ছিল। আমি রেডি হতে হতে ফোন দিলাম, ফোন দিতেই ওপাশ থেকে কেউ একজন বলছে" আপনি যে নাম্বারটিতে ফোন দিচ্ছেন, এ মুর্হূতে নাম্বারটি ব্যাস্ত আছে, দয়াকরে আবার চেষ্টা করুন ধন্যবাদ।
১০ মিনিট ধরে ফোন দিচ্ছি, ফোনটা ব্যাস্তই দেখাচ্ছে। বাইকে করে যাচ্ছি আর ভাবছি, আরিফা না আমাকে ভালোবাসতো তবে কেন করল আমার সাথে এমন?
.
শৈশব থেকে একে অপরকে ভালবাসতাম। এখনো মনে আছে, পুকুরে খেলা করতে করতে একদিন আরিফা পুকুরে পড়ে যায়, আমি তখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি। আমি সাতার জানতাম না, আরিফাকে বাঁচাতে পুকুরে ঝাপ দেই! পরে নাজমুল ভাই এসে আমাদের দুজনকে পুকুর থেকে তুলে। খুব ভালবাসতাম ওকে। নামাযের মুনাজাতে কাঁদতাম তাঁকে পাওয়ার জন্য।
একদিন, কণা আমাকে প্রপোজ করে এ জন্য দুই দিন আমার সাথে কথা বলেনি আরিফা। কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি তুলে ফেলেছিল।
পরের দিন স্কুলে যাওয়ার সময় আরিফা কণাকে বলছে" আর কোনদিন যদি আমাকে ভালবাসার কথা বলে, তাহলে ওকে খুন করে ফেলবে " আরিফা রাগি ছিল অনেক স্কুলের সবাই জানতো,তাই সেদিন কণা কিছু ভয়ে বলতে পারিনি। আর আরিফা কিছুদিন পর পর সেন্সলেন্স হয়ে যেত।
আর আমি পাগলের মতো কাঁদতাম।
এতটা ভালবাসার পরও তাকে কখনো ছুঁয়ে দেখিনি!
এতটা পবিএ ছিল আমাদের ভালবাসা।
আমার বাবা, আর আরিফার বাবা বন্ধু ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই আমার আর আরিফার বিয়ে ঠিক করে রাখা হয়েছিল।
সেই সূএ ধরেই আমার আর আরিফার বাগদান সম্পূর্ন হয়। যদিও আরিফা এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে রাজি ছিল না! কিন্তু পরিবারের চাপে, আর না করতে পারেনি।
কিন্তু এতটা ভালবাসার পরও সে এমন করবে। কখনো স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। ভাবিনি আমার বন্ধুর সাথে এমন অশ্লীল কর্ম করে, এবার্রসন করবে।
.
এদিকে নানান কিছু ভাবতে ভাবতে, আরিফাদের বাসার কাছে এসে পড়ি,।
বাইকটা থামিয়ে আরিফাদের বাসায় ঢুকতেই বুকটা ছ্যাঁ করে ওঠে! বাড়ির ভিতরে একটা বাইক দাঁড় করানো। বাইকটা অন্য কারো নয় আমার একমাএ বন্ধু উজ্জলের। কিছু ভাবতে পারছিনা! পা চলছে না। বাড়িতে ঢুকেই দেখি আরিফার রুমটা বন্ধ।
.
আস্তে আস্তে রুমের কাছে যাচ্ছি, রুম থেকে ফিসফিস করে আওয়াজ আসছে! ওহ্ সুইট হার্ট আজ সারারাত তোমাকো আদর করবো। তোমার শরীরে প্রতিটা পার্টে ভালবাসার স্পর্শ এঁকে দিবো। ইসসস! দুষ্ট ওভাবে বলো না, আমি পাগল হয়ে যাবো!
.
আমি জানালার কাছে গিয়ে জানালার পর্দা সরাতেই যা দেখলাম, তা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না! আরিফা আর """"
চলবে """"
#গল্পঃঅনুভূতির_প্রতিশোধ
পর্বঃ০১
লেখাঃজিসান আহমেদ রাজ (রাইসার আব্বু)
ভালো সাড়া পেলে পরবর্তী পর্ব শিঘ্রই পোস্ট করে দিব।আর যদি দেখি আপনাদের তেমন রেসপন্স নেই তাহলে পোস্ট ডিলিট করে দিব।সকলে গল্পে লাইক কমেন্ট করবেন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

===

You may also like

===