আমি সিঙ্গেল | Ami Single | Niloy Alamgir | JS Heme | Mursalin Shuvo | Bangla Natok 2022
আমি সিঙ্গেল | Ami Single | Niloy Alamgir | JS Heme | Mursalin Shuvo | Bangla Natok 2022
আমার ছোট্ট মেয়েটির বয়স এখন নয় মাস।
ডাক্তাররা বলেন একটি শিশু সাধারণত ৭ থেকে ১২ মাসের মধ্যে প্রথম শব্দটি বলে। আমাদের রিশিতা এখনও কোনো কথা বলেনি। তবে লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে যেকোনো মুহূর্তে সে তার প্রথম শব্দটি উচ্চারণ করবে। আমি আর আমার স্ত্রী তাই সারাক্ষণ অধীর আগ্রহে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকি।
রিশিতা এখনও কোনো অর্থবোধক শব্দ উচ্চারণ করেনি, কিন্তু সে সারাক্ষণই কিছু না কিছু বলছে। মুখের ভেতর বুড়ো আঙুল ঢুকিয়ে সারাক্ষণ হাত –পা ছোঁড়াছুড়ি করে আর মুখ দিয়ে ‘আবুজু গুজু বুজু’ – এই জাতীয় বিচিত্র সব শব্দ উচ্চারণ করে। আমার শাশুড়ি তো প্রায়ই বলেন, “কিরে অনিতা? তোর মেয়ে কি জাপানিজ বলে নাকি চাইনিজ? বাংলা বলে না কেন রে?”
বলবে! বাংলাই বলবে! নয় মাস তো হলো। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। যখন তখন বাংলায় কথা বলে উঠবে সে! সেই অপেক্ষাতেই তো আমরা আছি!
আমার স্ত্রী, অনিতার ধারণা রিশিতা সর্বপ্রথম “মা” বলে ডাকবে। অনিতা সারাক্ষণ সেই প্রচেষ্টাতেই লিপ্ত। প্রায়ই সে মেয়েটির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলতে থাকে, “মামনি, ‘মা’ বল তো, কই দেখি? বলো? বলো ‘মা’, কই বললে না?” অনেক্ষন চেষ্টা করেও সে রিশিতার মুখে মা ডাক শুনতে পায় না। শেষে হতাশ হয়ে বলে, “নাহ! এই মেয়ের মায়ের প্রতি কোন টান নেই”।
আমি দূর থেকে তাকিয়ে দেখি আর মুচকি হাসি।
আমার বিশ্বাস, অনিতা যতই চেষ্টা করুক না কেন, কোনো লাভ নেই। রিশিতা প্রথমে ‘বাবা’ বলেই ডাকবে। সবাই বলে, ‘রিশিতা ঠিক তার বাবার মত হয়েছে। একই রকম নাক, চোখ, কান আর মাথার গড়ন!’ রিশিতা শুধু যে দেখতে আমার মত হয়েছে, তা নয়! সে তার মায়ের তুলনায় আমার কাছেই বেশি থাকে। রাতের বেলা অনিতা অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও মেয়েকে ঘুম পাড়াতে পারে না। কিন্তু আমি একটু কোলে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেই টুপ করে ঘুমিয়ে পড়ে। আবার রিশিতা যখন কাঁদে, অনিতা অনেক চেষ্টা করেও তার কান্না থামাতে পারে না। আমি একটু আদর করে দিতেই – চুপ! তাই রিশিতা ‘মা’ বলার আগে ‘বাবা’ বলে ডাকাটাই খুব বেশি স্বাভাবিক। কিন্তু কবে ডাকবে? নয় মাস তো হয়ে গেল!
আজ রিশিতা খিচুড়ি খাবে। সব্জি, ডাল, ডিম দিয়ে নরম করে রান্না করা খিচুড়ি। অনিতা খুব যত্ন করে মেয়ের জন্য খিচুড়ি রান্না করে। রান্না ঘরের গরমে তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে। এক হাতে চামচ দিয়ে নাড়তে থাকে, আর অন্য হাতে আঁচল দিয়ে কপালের ঘাম মোছে। এই সময়টাতে তাকে দেখতে খুব ভাল লাগে আমার।
খুব বেশি দিন হয়নি আমাদের বিয়ে হয়েছে। মাত্র দু’বছর হলো। ছোট-খাটো একটা চাকরি করি আমি, দুনিয়ায় আপন বলতে কেউ নেই। এদিকে অনিতাও তার বাবা মায়ের এক মাত্র মেয়ে। তাই বিয়ের পর থেকে দুজনে অনিতার বাবার বাড়িতেই থাকছি। একা থাকার চেয়ে মানুষের মাঝে থাকতে আমার বেশি ভালো লাগে। যদিও লোকজন আড়ালে ‘ঘরজামাই’ বলে টিটকারি করে। আমি আমলে নেই না। লোকে যা বলে বলুক, আমার কিছু যায় আসে না। এখানে আমি সত্যিই খুব ভালো আছি।
অনিতা মেয়েকে কোলের উপর বসিয়ে খিচুড়ি খাওয়াচ্ছে। হাতের মুঠোতে ছোট লোকমা বানিয়ে মেয়ের মুখের সামনে তুলে বলছে, “হা করো তো মামনি। এই যে দেখ কত মজা খেতে। খাও খাও”।
রিশিতা খেতে চাচ্ছে না। তার ছোট ছোট হাত ছুঁড়ে অনিতার হাত সরিয়ে দিতে চেষ্টা করছে।
অনিতা প্রায় জোর করে মেয়ের মুখে খিচুড়ির লোকমা ঢুকিয়ে দিলো। রিশিতার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে যেন চিরতার পানি খাচ্ছে। বহু কষ্টে সে খিচুড়ি গিলছে। তাই দেখে আমার খুব হাসি পেলো। ভারী পাজি হয়েছে আমার মেয়েটা! অল্প বয়সে পাকনামো!
আরেক লোকমা হাতে নিয়ে রিশিতার মুখের সামনে ধরলো অনিতা। রিশিতা আবার ফিরিয়ে দিচ্ছে হাত। খাবে না আর।
অনিতা জোর করলো, “এই যে মামনি। খাও খাও। মুখ হা কর”।
রিশিতা তো কিছুতেই খাবে না! অতটুকুন মেয়ে কি জোরে মাথা নাড়ছে! আহারে!
অনিতা আবারো জোর করে তার মুখে খিচুড়ির লোকমা ঢুকিয়ে দিল।
তারপর যা ঘটে গেলো তার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না!
রিশিতা “থু” করে মুখ থেকে খিচুড়ি ফেলে দিলো। তারপর চিৎকার করে বলল, “রক্ত… রক্ত খাব…”
এক মুহূর্তের জন্য পাথর হয়ে গেল অনিতা। এটা ছিলো রিশিতার মুখের প্রথম শব্দ- ‘মা’ নয়, ‘বাবা’ নয়! “রক্ত”!
হাত থেকে খিচুড়ির প্লেট ফেলে দিল অনিতা। আতংকে মনে হচ্ছে তার চোখদুটো কোটর ছেড়ে বেরিয়ে আসবে! মেয়েকে এক পাশে ঝটকা দিয়ে ফেলে উঠে দাঁড়ালো সে। চিৎকার করে ডাকলো, “মাআআআআ! ও মাআআআ!”
পাশের ঘর থেকে হন্ত দন্ত হয়ে ছুটে এলেন আমার শাশুড়ি। “কিরে? কি হয়েছে?”
অনিতা ভয়ার্ত গলায় বলল, “তোমার নাতনি কি বলছে! সে নাকি রক্ত খাবে! এ কোন পিশাচ জন্ম দিলাম আমি?”
শাশুড়ি হতবাক চোখে রিশিতার দিকে তাকালেন। রিশিতা আপন মনে হাতের পুতুল নিয়ে খেলছে। তিনি বললেন, “পাগল হয়েছিস তুই? দুধের শিশু! কথাই বলতে পারে না! সে খেতে চাইবে রক্ত?”
“বিশ্বাস করো মা। আমি নিজ কানে শুনেছি এই মাত্র”।
“তুই শুনতে ভুল করেছিস”
অনিতা আমার দিকে তাকিয়ে বলল, “এই তুমি কিছু বলছো না কেন? তুমি শুনেছো না রিশিতা কি বলেছে?”
আমি কিছু বলছি না। কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ! সবার ধারণাই ঠিক- রিশিতা আসলেই পুরোপুরি তার বাবার মত হয়েছে!
মেয়েকে নিয়ে আজ রাতেই বাড়ি ছেড়ে পালাতে হবে। নাহ! মানুষের ছদ্মবেশে আর থাকা গেলো না!
---------------
হরর গল্প: রিশিতা
নাজিম উদ দৌলা
=============================== 000000 ==========================
#উন্মাদ (৬ষ্ঠ এবং শেষ পর্ব)
সাইকোপ্যাথ সিরিয়াল কিলারকে সনাক্ত করতে পেরেছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ...
..
সকাল ৮টা...
স্কুলের সব বাচ্চারা সারিবদ্ধ ভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে পিটিতে জাতীয় সঙ্গীত "আমার সোনার বাংলা,আমি তোমায় ভালোবাসি" গাইছে...
...
হঠাৎ শুভ তার সহকর্মী রাফি এবং আরো ২জন অফিসার নিয়ে স্কুলে ঢুকে! স্কুলের মেইন গেইট অফ করে দেয়া হয়...
...
শুভ এবং রাফি স্কুলের মাঠ দিয়ে হেটে হেটে স্কুলের বারান্দার কাছে যায়...
..
শুভ; (চিতকার করে) বাচ্চারা তোমাদের ঝাড়ুদার আন্টির নাম কি?
(বাচ্চারা চিতকার করে বলে "ফরিদা আন্টি"... পাশেই ফরিদা বারান্দা ঝাড়ু দিচ্ছিল)
..
শুভ; ফরিদা চলো আমাদের থানার জেলটা অনেক ময়লা হয়েছে ঝাড়ু দিয়ে দিবা...
ফরিদা; (চুপ)
(স্কুলের হেডমাস্টার আসে)
হেডমাস্টার; অফিসার কি হচ্ছে এসব?
শুভ; আপনার ঝাড়ুদারকে নিয়ে যেতে এসেছি! কিন্তু সে তো কথাই বলছে না..
হেডমাস্টার; ও কথা বলতে পারে না! বোবা!
(শুভ একটু হাসলো)
শুভ; মেয়েদের গলায় কথা বলা খুব কঠিন তাই বোবা হয়ে সেটা খুব সুন্দর করে এড়িয়ে গেছিস..তুই ট্যালেন্ট আছিস ভাই...
হেডমাস্টার; অফিসার বাচ্চারা ভয় পাচ্ছে আর ফরিদা কি করেছে?
শুভ; বাচ্চাদের সারাজীবন বাচ্চার মতো রাখলে হবে না! তাদের দেখাতে হবে ক্রাইম কিভাবে হয় এবং কেউ তাদের সাথে ক্রাইম করতে চাইলে প্রতিবাদ করতে হয়!
(ফরিদা দৌড়ে পালাতে চায়..কিন্তু রাফি ধরে ফেলে)
শুভ; আপনি উত্তর পেয়েছেন? ও ক্রাইম করেছে তাই পালাতে চেয়েছিল! এখন কথা হচ্ছে কি ক্রাইম করেছে..
হেডমাস্টার; জি!
শুভ; শহরে ঘটে যাওয়া সিরিয়াল কিলিং এর সাইকোপ্যাথ কিলার হচ্ছে অভি ওরফে ফরিদা!
হেডমাস্টার; মানে?
শুভ; ও হচ্ছে অভি! ও মহিলা সেজে বিভিন্ন স্কুলে ঝাড়ুদার কিংবা বুয়ার চাকুরী করে এবং সিরিয়াল কিলিং চালিয়ে যাচ্ছে!
হেডমাস্টার; কি বলছেন?
..
" স্কুলের সব বাচ্চার সামনে ফরিদার সারি খুলে ফেলা হয়,আলগা চুল খুলে ফেলা হয়,চেহারার মেকআপ তুলে ফেলা হয়"
ফরিদা থেকে নিমিষেই যুবক হয়ে যায় অভি!
..
শুভ; পালিয়ে লাভ নেই..তুই যেই মেয়েদের খুন করেছিস তাদের বাবা-মা পরিবারের মানুষরা স্কুলের বাহিরে দাড়িয়ে আছে!স্কুল থেকে বের হলে তারা তোকে খুন করবে! তাই আমার সাথে গেলেই বেচে যাবি...
.
স্কুলের মেয়েরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়..তারা অভিকে মারার জন্য ছুটে আসে কিন্তু পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়! মেয়েরা দূরে থেকেই তাদের জুতা ছুড়ে মারে অভির দিকে..
এদিকে স্কুলের মানুষের ভিড় লেগে গেছে..
মিডিয়ার লোকরাও চলে এসেছে...
মেয়ে হারা মায়েরা কাদতে কাদতে অপেক্ষা করছে অভিকে মারার জন্য..সাধারণ মানুষ ও এসেছে...
..
অভিকে এরেস্ট করে কড়া গার্ড দিয়ে গাড়িতে তুলে ফেলা হয়..
এদিকে মিডিয়া শুভকে ঘিরে ধরে..
..
মিডিয়া; অভির এই খুন এবং ধর্ষণ এর মোটিভ কি ছিল?
শুভ; সে এখনো কিছু বলে নি! জিজ্ঞাসাবাদ এর পর আমি জানাবো!
মিডিয়া; এত গুলো মায়ের বুক খালি করে..অসহায় মেয়েদের ধর্ষণ এবং খুন করার পরে তার হয়তো ফাসি হবে..আপনার কি মনে হয় এটাই যথেষ্ট?
শুভ; আইন যা ভালো বুঝবে করবে..
মিডিয়া; সে যে অপকর্ম করেছে তার কি কোন কঠিন শাস্তি হতে পারে না যা দেখে দেশবাসী কিছুটা হলেও শান্তি পাবে এবং ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজ করার কথা কল্পনাতেও না আনে..
শুভ; বিচার হবেই অভির..
(বলেই শুভ চলে যায়)
অভিকে নিয়ে থানায় চলে আসা হয়...
.
জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়...
..
শুভ; প্রথম থেকে শুরু কর..মা-মেয়ে ডাবল খুন করতি..বাড়িতে ঢুকতি কিভাবে?
অভি; (চুপ)
শুভ; মুখ খুলবি নাকি মারামারি শুরু করবো..
অভি; ব্ল্যাকমেইল..
শুভ; মানে?
অভি; যেসব বাড়ির মা-মেয়েকে খুন করেছি সেইসব বাড়িতে আমি আগে ফ্রিজ ঠিক করা,কারেন্ট এর কাজ এসব অযুহাতে ঢুকেছি! তখন টয়লেটের অযুহাতে তাদের টয়লেট ব্যবহার করি এবং টয়লেটে একটি গোপন ক্যামেরা রেখে আসি! কিছুদিন পর আবার গিয়ে সেটা নিয়ে আসি এবং ভিডিও গুলো দেখে দেখে শারিরীক চাহিদা মিটাতাম! আমি খুন করতে চাই নি...
শুভ; হম তুই বাচাতে চাইসিলি ভুলে খুন করে ফেলেছিস! তারপরে বল...
.
অভিঃ রাহেলা আর ইলমা যেটা আমার প্রথম খুন ছিল! ওদেরো ভিডিও নিয়েছিলাম! কিন্তু হঠাৎ আমার মাথায় কি যেন হয়..আমার ভিডিওতে হচ্ছিল না..আমার লাইভ ইচ্ছা করছিল! তাই ভিডিওসহ একটা ম্যাসেজ পাঠাই ইলমাকে! এবং ওদের বলি "আমাকে যদি একবার সরাসরি দেয় তাহলে আমি ভিডিও ভাইরাল করবো না" ওরা রাজি হয়! আমি ওদের বাড়িতে যাই! মা-মেয়ে দুজনের সাথেই খুব ইনজয় করি কিন্তু হঠাৎ আমার মাথায় আসে ওরা তো আমাকে চিনে ফেলেছে যেকোনো কিছু করতে পারে! তখনি ওদের খুন করে ফেলি! আর যখন দেখলাম পুলিশ আমার কিছুই করতে পারে নি! তখন আমি এটা কন্টিনিউ করতে থাকি! ওরা ওদের সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলতো না আর আমি এটার সুযোগ নিতাম! বেশ ভালোই চলছিল...
হঠাৎ স্কুল কলেজ খুলে দেয়া হয়! আমার মনে ঈদ লেগে যায়..
.
শুভ; তুই আগেও এসব করতি?
অভি; হ্যা আমি খুনের আগেও বিভিন্ন স্কুলে মেয়ে সেজে কাজ করতাম! আমি প্রচুর শারিরীক চাহিদা..ডাক্তার বলেছে এটা হরমোন এর কারণে হয়! আমি কখনো নিজেকে কনট্রোল করতে পারি না..স্কুলে মেয়েদের টয়লেটে গিয়ে ফিল নিতাম আর দূরে থেকে দেখতাম! হঠাৎ স্কুল বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু আমি নিজেকে কনট্রোল করতে পারছিলাম না..তাই বাড়িতে বাড়িতে যেতাম!
শুভ; আচ্ছা তারপর স্কুল খুলার পর?
অভি; স্কুল খুলার পর স্কুলের মেয়েদের ম্যাসেজ দিতাম তারাও ভয়ে কাউকে কিছু বলতো না আর আমি এটার সুযোগ নিতাম!
শুভ; ২৫ তম ভিক্টিম এর হাতে ম্যাসেজ দিয়েছিলি কেন?
অভি; আপনাদের সাথে মজা নেয়ার জন্য..
শুভ; শুয়োরের বাচ্চা মজা চো*ও (বলেই মারা শুরু করলো)
..
শুভ মিডিয়াকে জানায় "অভি পুরো ব্যাপারটাই ঘটিয়েছে শারিরীক চাহিদা মেটানোর জন্য এবং সে সব খুন স্বীকার করে নিয়েছে"
(অভিকে জেলে রাখা হয়)
..
রাতেরবেলা শুভ ইউটিউব এ এই সাইকোপ্যাথ সিরিয়াল কিলিং নিয়ে করা নিউজ গুলো দেখছিল "খুন হওয়ার মেয়েদের মায়েরা মেয়ের জন্য বিল্লাপ করে কাদছে আর মা আর মেয়ে খুন হওয়া পরিবারের মানুষরা কাদছে"
.
সকাল হয়..
হঠাৎ চারিদিকে খবর ছড়িয়ে পড়ে..
"জেলখানার ভিতরে অভির ভয়ানক ভাবে খুন হওয়া লাশ উদ্ধার"
..
থানার সামনে সাধারণ মানুষ,খুন হওয়া মেয়েদের পরিবার এবং মিডিয়া ভিড় করে...
শুভ মিডিয়াকে বলে "সকালে এসেই দেখি ওর লাশ পড়ে আছে..জেলহাজত তালা দেয়া ছিল কিন্তু কিভাবে কি হয়েছে জানি না"..
..
অভির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়..
লাশ ময়নাতদন্ত শেষে মিডিয়ার মাধ্যমে ডক্টর অভিকে খুনের বর্ণনা বলে...
" অভির শরীরে অজস্র দাগ লক্ষ্য করা গেছে..হয়তো তাকে উলঙ্গ করে লাঠি দিয়ে প্রচুর মারা হয়েছে..অভির শরীরের হাড় গুলো সব ভাংগা ছিল..বেল্ড দিয়ে অভির শরীরে বার বার আঁচড় কাটা হয়েছে এবং কাটা যায়গায় লবন লাগানো হয়েছে..ভারী কিছু দিয়ে অভির দাত গুলো টেনে খুলে ফেলা হইসে,হাতের পায়ের নখ তুলে ফেলা হইসে..অভির পেটে তরল জাতীয় কিছু পাওয়া গেছে সম্ভবত সেগুলো প্রসাব..অভির জিব্বা কেটে ফেলা হয়েছে..অভির পার্সনাল পার্টস কেটে ফেলা হয়েছে...তারপর একে একে হাত পা কাটা হয়েছে এবং শেষে গলা কেটে ফেলা হয়েছে অভির"
...
শুভ আদালতে রিপোর্ট দেয় "অভির খুন করা মেয়েদের আত্মা অভিকে খুন করেছে"
...
অভির এমন ভয়ানক খুনে দেশবাসী যেন প্রশান্তি পেয়েছিল..
..
রাফি; স্যার কেইস তো ক্লজ কিন্তু একটা ব্যাপার আপনি বুঝলেন কিভাবে অভি ওরফে ফরিদাই খুনি!
শুভ; কিলার তার ম্যাসেজে লিখেছিল "আমার উত্তরের অপেক্ষায় থাক"...তাই আমি স্কুলের সবার হাতে লিখিয়েছিলাম " ভালো থাকো সামিয়া"...সবাই "থাকো" লিখলেও..একজন লিখেছিল "ভালো থাক সামিয়া"..আর সেটাই ছিল অভি ওরফে ফরিদা...
রাফি; স্যালুট স্যার! কিন্তু স্যার অভিকে তালাবদ্ধ জেলখানার ভিতর এভাবে খুন করলো কে?
শুভ; আত্মা...
..
সমাপ্ত..
.
লেখক; আলিফ খান (মেন্টাল)